Tuesday, December 18, 2018

রাতুল এবং করতোয়া (পর্ব- ০১)



বাবার অনাদরমাখা বকুনি খেয়ে এসে চুপচাপ ভাবতে বসেছে রাতুল। একটুও সাড়া শব্দ নেই আশেপাশে। থাকবেই বা কীভাবে? রাতুল তো আর মায়ের আঁচলের নিচে বসে ভাবছেনা। ৫০ বছরের কোন বুড়োর মতো অভিমানী হয়ে ঘর হতে পা ফেলে এসেছে প্রিয়জনদের একটু আড়ালে। বয়সে ছোট হতে পারে কিন্তু রাতুল জানে প্রিয়জনদের সামনে মনের মতো করে কান্না করার কোন সুযোগ নেই। নিজের ইচ্ছেমতো কান্না করতে হলে একটু দূরে নিরালায় যেতে হয়। যেখানে পরিচিত মানুষের আনাগোনা নেই। রাজ্জাক কলোনি পেরিয়ে সুবিশাল খোলা মাঠ। সারা মাঠকে রুপসী বানিয়ে রেখেছে দলেভরা সবুজ ঘাস। মাঠের ঘাসফুল রাতুলের মন কাড়ছেনা। ঘাসফড়িঙদের তিড়িংবিড়িং নাচেও আজ তার মন নেই। চুপচাপ মাঠ পেরিয়ে এসেছে সে। চুপচাপই তো হবে। এ নীরব জায়গায় সচরাচর কেউ আসেইনা। রাতুল আরো একবার এসেছিলো এ জায়গায়। সেইবার অবশ্য ঘাসফুল, ঘাসফড়িঙ কোনটাকেই অবজ্ঞা করেনি সে। সবগুলোকে প্রিয় বানিয়ে নিয়েছিলো। কিন্তু, আজ যে রাতুলের মন খারাপ। আর মন খারাপের সময় সে প্রিয় কারো সাথেই সময় কাটাতে পারেনা।
তাই অপ্রিয় করতোয়ার কাছে এসেছে সে। করতোয়া তার ভীষণ অপ্রিয়। গেলো বছর রাতুলের সবচেয়ে ভালো বন্ধুকে গ্রাস করেছিলো এ রাক্ষসী তটিনী!

ছবি: ইন্টারনেট

চট্টগ্রাম
৩১-০৫-১৮

No comments:

Post a Comment