Sunday, April 26, 2020

কোয়ারেন্টাইন

কোয়ারান্টাইনে ভাল্লাগেনা আরে
গেলাম সেদিন চেনা রাস্তার ধারে
সামনে পড়লো পরিচিত একলোক
হাত বাড়ালো ক্যামনে ফিরাই
মিলিয়ে নিলাম বুক
কথা চললো মিনিট পাঁচেক ধরে
পরিচিত লোক ঘনঘন কাহুংকুহুং করে
মনে জাগে ভয়, নিজেরে বলি-
'এ নিশ্চিত করোনা নয়'
কাকু দিচ্ছে ঘন কাঁশি, নাকও মুছে ঘন
বোমাসদৃশ সর্দিকাশি লাগছে খুব
মরেই যাবো যেন!
বন্ধু আমার ফোনের উপর করছে ফোন
বোরিং লাগে তারও নাকি
সে বের হবেই এখন!
বাইকের উপর চেপে
চলছি রাস্তা মেপে
জনগনের আনাগোনা নেই তেমন
গেলাম মিটার কতক সামনে
মিলিটারির কবলে পড়েই বলে দিলাম
'বের হয়েছি এম্নে রে স্যার, বের হয়েছি এম্নে'
ঘুরে দাড়া ব্যাটা, দুই টাকার নেতা
দিচ্ছি যেটা নিয়ে যা
ঘুম হবে ভালো, মুড়িয়ে নিলে কাঁথা!

রাংগুনিয়া
২৯/০৩/২০২০

Friday, January 3, 2020

পরিসংখ্যান

-তুমি কিন্তু পরিসংখ্যানের গণিতে একবার প্যাঁচাল খেয়ে গিয়েছিলে। --হতে পারে। মনে নেই। -আমার মনে আছে। তোমার বেগতিক চেহারাটা আমায় সেদিন পৈশাচিক আনন্দ দিয়েছিলো। --বলো কী? আমার সত্যিই মনে নেই। এতো গুরুতর আমায় কোথায় সান্ত্বনা দেবে তা না তুমি মজা নিয়েছিলে। পাষাণ একটা। --তো কী? আমার আগুন চোখের শিখা তোমায় জ্বালাতে পারলোনা। ওই ক্রমযোজিত গণসংখ্যায় তোমার যত মনোযোগ। -ভালোবাসতে? --কই নাতো। অতশত বুঝতাম নাকি? রুটিনের পর রুটিন করে পড়তে চাওয়ার মতো আমিতো ছিলাম না। দ্যানজ্ঞান, সিলেবাস কিংবা রুটিন আমার সবইতো তুমিই ছিলে। আমার পুরানো মলাটের পাতায় পাতায় তোমার নাম পাওয়া গেলে বুঝি ভালোবাসতাম ভেবে নিতে? -আরেহ না। আমার ভালোবাসা ছিলো তোমার পেতে দেয়া হাতে। মারের জন্য ভীত হয়ে কোনদিন অসহায়ও মনে হয়নি তোমায়। আমি দারুণ উচ্ছাসে মার দিতাম। কতটা ভালোবাসলে একটা মানুষ প্রতিদিন তিক্ত ভালোবাসা নিতে এরকম হাত পেতে দিতো। একটা বিষয়ে বারংবার ইচ্ছাকৃত ব্যর্থ হতো। আমি প্রতিটি বিষয়ে তোমার নম্বর দেখতাম। গণিতে এতো কম নম্বর পাওয়ার মতো তুমি কোনদিনই ছিলেনা। --হ্যাঁ। তোমার জন্য ছিলাম শুধু। শুধুই তোমার জন্য। কত প্রেমের চিঠির প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। মনে আছে সজলের কথা? -কোন সজল? তোমাদের শ্রেণিতে যে সবসময় প্রথম হতো? --জ্বী জ্বী। এতো সহজে মনে পড়ে গেলো! -আহা! ছেলেটা। হুট করে বিদেশ চলে গিয়েছিলো। --জ্বী না। সজল দেশেই ছিলো। আমার প্রেমের প্রত্যাখ্যানে কষ্ট পেয়ে সে তখনই ঢাকায় চলে আসে। এতোটা কষ্ট পাবে ভাবিনি। পরে আমার মন খারাপ হয়েছিলো ওর জন্য। তাতে কী? তুমিই আমার সব ছিলে। সবাই জানতো, আমি তোমার জন্য পাগল ছিলাম। -আমিও জানতাম কিন্তু মানতাম না। --কেন কেন? -শিক্ষক-ছাত্রীতে প্রেম হয়না। --সংসার হয়? -দিব্যি হচ্ছে তো। প্রায় নয় বছর না? --বাবা যখন বলেছিলো, 'তোর জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব আছে।' আমি না পারি মরে যাই। যখন সে প্রস্তাবের শেষে তুমি এলে আমি এবার খুশিতে মরে যায়। তোমার কারণে মরতে চাওয়াতেও অদ্ভুত প্রেম আছে। -সেটা নিতান্তই তোমার গুণ। তুমি একজন পরিপূর্ণ প্রেমিকা। --কেন আমায় খুঁজে নিয়েছিলে? -ভালোবাসতাম বলে। --এতোবছর পরেও পারলে? -পারলাম তো। ভালোবাসা সময় সাপেক্ষ না, দূরত্ব সাপেক্ষ ও না। ভালোবাসার কোন সংজ্ঞা নাই। ভালোবাসায় দ্বৈততা আর একনিষ্ঠতা থাকলেই চলে। তুমি স্কুল শেষ করে চলে গেলে। আমার কেমন জানি শুণ্যতা অনুভূত হতে লাগলো। নিজেকে হাজার হারিয়ে তোমাতেই খুঁজে পেতাম। বুঝতে বাকি ছিলোনা আমি কেবল শিক্ষক নয় একজন প্রেমিক। --আমি যদি হারিয়ে যেতাম? -ভালোবাসা হারায় না, তুমিও হারাতে না। আমিও হারাতে দিতাম বলে মনে হয়না। --অনুসরণ করতে? -সবসময়। সজলের সাথে ফের দেখার পরেও তোমার প্রেমে নতুন হাওয়া না লাগাটা আমাকে ভালোবাসতে বেগবান করেছিলো। তুমি এক অদ্ভুত প্রেমিকা আমার। -এতো ভালোবাসো? -ছয় বছরের অপেক্ষা আর নিষ্প্রাণতা বয়ে চলা আর একবার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় যুগযুগ কাটিয়ে দেয়ার পণ করেছিলাম জানলে বুঝি ভালোবাসতাম ভেবে নিতে? --আরেহ না। আমার ভালোবাসা ছিলো তোমার চুপিসারে দেখে যাওয়াতে। তুমি কী ভেবেছিলে মেয়েদের চাহনি শুধু সম্মুখেই? কলেজে যেতাম যখন পেছনে রিক্সায় তোমায় খুঁজে পেতাম, আমার বুড়ো বাবাকে যখন কাকুতি -মিনতি করে বলতে এলে 'চাচা, আমি আপনার ছেলে হতে চাই।' আমার চেয়ে সৌভাগ্যবান প্রেমিকা আর কে হতে পারে? তুমি কেবল শিক্ষক নও, তুমি প্রেমিক। আমি হাজার বছর অপেক্ষায় থাকতেও রাজি ছিলাম। -আচ্ছা, ক্রমযোজিত গণসংখ্যায় সমস্যা আছে? --একদম নেই। কিন্তু, তোমার চেহারা বেগতিক লালা হয়ে যাচ্ছে কেন? -ভালোবাসায়। চট্টগ্রাম ০৪/১২/১৯

রক্তপিপাসু প্রিয়

গোলাপি জামদানী পরেছো আজ
কপালের টিপটাও ঠিকঠাক
অদ্ভুত মায়াদেবীর মতো লাগছে তোমায়
আমি হাত বাড়াচ্ছিনা; তুমি মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে প্রার্থনায়;
প্রিয় তাকিয়ে তাকিয়ে ভালোবাসায় মাখিয়েছে
কাছে টানছেনা!
তুমি অভিমানী হয়ে; চুপটি ওভাবেই দাড়িয়ে 
আমি বারংবার হারছি তবু হার মানছিনা
তোমার চক্ষু রক্তলাল আমি নির্ভীক তোমায় তাকিয়ে
প্রিয় তোমার কিছু বলছেনা!
জানো গোলাপিতে আমার কোন মোহ নেই
আমার ভালোবাসা সব নীলে
তুমি আমার প্রেমিকা নও, ভালোলাগা কিনা জানিনা
আমি তোমায় হাজারবার চাই
আবার একদমই চাইনা
তবু কীসে আমাদের এতো মিলে?
আমি জানিনা কীভাবে হাসো তুমি
কত আবেগী কান্না তোমার জানিনা তাও
জানতে চাইনি কীসে সুখি তুমি
তোমার প্রেম আমার আজো অজানা
তবু জানি কোনদিন ছুটবো দু'জনে, ঘুরবো ভীষণ, 
স্বপ্নমেঘে ভাসাবো নাও
তুমি প্রেমরিক্ত প্রেমিকা নাকি প্রেমিকের খুনি
রক্তপিপাসু নাকি রমণী গুণী
আমি বুঝিনা; আমি ভাবিনা
প্রিয়, চুপিসারে আমার কানের পাশেতে ঝনঝনাঝন চুড়ি বাজিয়ে এসে একদিন বলো, 'শোণ, চোখ বন্ধ করে এক থেকে তিন গুনো'
তোমার টিপে লাল রক্ত; তুমি বহুরূপী মায়াবিনী
আমি পরাজিত ওই রুপে
গুনবো এক-দুউউই--তিই......
তোমার নূপুরধ্বনি! আহা প্রেম!
আমি অবাক তাকিয়ে ভাববো প্রেমিকা এমনও হয়!
সে কি সত্যিই আমার!
দিশেহারা রুপে মঙ্গলময়
নাকি জগতের কেউই কারো নয়!
তুমি বলবে, 'ওহে ভাবুক ভেবোনা আর, ছুঁয়ে দেখো!'
আমি হাত বাড়াবো, হাত বাড়াবে তুমিও
কোথায় প্রিয় মায়াদেবী? কোথায় তুমি?
আমি অতলস্পর্শে হারাতে হারাতে চিৎকারে বলে যাবো
"ভালো থেকো প্রেম, ভালো থেকো"।।

Sunday, November 17, 2019

ভাইপ্রেমী

মনে পড়ে তোমায় নাম দিয়েছিলাম 'কবিতা'?
তুমি তখন কবি ভালোবাসতে
আমিও লিখতাম কবিতা দারুণ বেশ
তুমিই বলেছিলে তা
দিনশেষে তবু চলে গেলে হাসতে হাসতে
আজ আবার বছর পাঁচেক পর
দেখা হলো গল্পখোরদের মেলায়
আমি ছেড়েছি কবিতা লেখা কবেই
গিয়েছিলে ভেঙেচুরে যবে
আচ্ছা, গল্পের দলে নতুন কোন খেলায়?\
আজ বুঝি গল্প লেখকদের পছন্দ খুব?
কবিতার কবিরা সব ছাই!
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি কেন?
আগুন! আগুন!
প্রাক্তন কি আমায় আজ তাচ্ছিল্যের আগুনে পোড়াতে চায়?
আমার হারানোর বাকি আছেইবা আর কী?
যা হারানোর তাতো হারিয়েছি
নেই অভিমান দেখো পুড়ছিনাও
'বাবু' ছেড়ে বলছো যখন 'কেমন আছো ভাই?'


রাংগুনিয়া, চট্টগ্রাম
১৩/১১/২০১৯

Saturday, April 13, 2019

'তুমি পিঁপড়ে, আমি বিশালাকার হাতি'



আমি তুখোড় যুক্তিবিদ। শত যুক্তিবিদ্যা আমার রক্তে মিশে আছে। তাই, সত্য-মিথ্যা যাই হোক অন্যের যুক্তি মানার কোন প্রশ্নই আসেনা!
-আমিই একমাত্র যুক্তিবিদ!
আমি গণিতে খুবই ভালো। ঠিক সে কারণে প্রথম সারিতে আমার জায়গা হয়। কিন্তু, একদম পেছনের সারির কেউ যদি আরো ভালো উপায়ে কোন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে দেয়, সে নিশ্চিত কারো কাছ থেকে দেখে লেখেছে!
-সৃজনশীল তো কেবল প্রথম সারিতে বসা ছাত্রছাত্রীরাই হয়!
সর্বদা ওয়ারফেজ-আর্টসেল এবং দেশি-বিদেশি গায়ক-গায়িকাদের গান কিংবা নতুন নতুন সকল সিনেমার খবর রাখলে অথবা চলমান কোন বিষয়ে লেখালেখি করলে আমি ‘আধুনিক প্রজন্ম’। কিন্তু, ধর্মের ইতিহাস, ধার্মিকতা বা ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু লিখে প্রকাশ করলে একেবারে সেকেলে, ধর্মান্ধ বা নব্য ফেসবুক ধর্মপ্রচারক! এখানে সব করা যাবে কেবল ধর্মের কথা লেখা যাবেনা!
- ফেসবুক তো ইহুদীর তৈরি শুধু তামাশা প্রকাশের ওয়েবসাইট। তাই খাঁটি মুসলিম হলে তা ব্যবহারের যোগ্যতা রাখেনা!
বিজেপি-কংগ্রেস কিংবা মমতার তৃণমূল নিয়ে মাতামাতি করলে কিংবা মিশর-ইরান-ফিলিস্তিন নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করলে তার দেশপ্রেম কম। আবার জনগণের ভুল ধরিয়ে দিলে কিংবা সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী!
-নাগরিকেরা প্লাস্টিক!
মেয়েদের যদি বলা হয় ‘পর্দা কর’। এটা নিতান্তই ভালো কথা। কিন্তু, সেটা তাঁর বিবেচ্য না। সে প্রত্যুত্তরে বলবে, ‘হে নির্বোধ পুরুষ, ধর্ষণ পর্দা বিবেচনায় হয়না’। আবার জানোয়ারেরা চোখে, মুখে, নাকে, কানে, হাতে কিংবা সারা শরীরেও ধর্ষণ করে। যেখানে বাদ যায়না অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে পর্দানশীল নারীরাও। অথচ, নিজের পুরুষত্বের পর্দা ছিড়ে নিকৃষ্টতা শেষে জানুয়ারেরাও ঘটনার পেছনে ঠিকই পর্দার অযুহাত দেয়! তাহলে, ধর্ষণ, খুন কিংবা অপরাধের মূলে কী বা কারা?
-আমি নির্দ্বিধায় বলবো, ‘অযোগ্যতাসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা!’
( ফাঁসি দেয়া লাগবেনা। সরকারি সহযোগিতায় একদিন ফেসবুক লাইভ করে একটা ধর্ষকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেখালেই তো হয়। কিন্তু, কোন সরকার তা করেনা, করবেনা। কারণ, আমরা জানি এগুলো কারা ঘটায় কেবল সরকারেরা তাতে জ্ঞাত নয়! অতএব, সকল ক্ষেত্রে তিনমাসের জেল কেটে কেস খালাস!)
ধর্ম, ধার্মিকতা, ধর্মগ্রন্থ এ তিনটি বিষয় একমাত্রই বিশ্বাসীদের জন্য ।যেমন মুসলিমদের আল কোরআন, হিন্দুদের বেদ, বৌদ্ধদের ত্রিপিটকখ্রিষ্টানদের বাইবেল, ইহুদিদের তাওরাত ইত্যাদি । প্রত্যেকেরই তাঁর ধর্ম, ধার্মিকতা, ধর্মগ্রন্থ নিয়ে বলার অধিকার আছে। জানার বা জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু, আমরা আধুনিক প্রজন্ম এসব নিয়ে ভাবতে গেলে, বলতে গেলে খুব কাছের বন্ধুটির চোখেই খারাপ হয়ে যাই। মূলতঃ অধার্মিকই ধর্মের কথায় আগ্রহ পায়না। অপর্দানশীল কিংবা জানোয়ার কেউই ধর্মে দীক্ষিত না।  ধর্মজ্ঞান সকল ধর্মের সকল মানুষে থাকলে অন্তত আর যাই হোক অন্যায়, অবিচার হতোনা।

‘তুমি পিঁপড়ে, আমি বিশালাকার হাতি’ চিন্তাধারণা ধর্মগ্রন্থ কেন উচ্চ মননশীল কোন ব্যক্তিত্বেও সমর্থন করেনা।

ছবিঃ ইন্টারনেট

Wednesday, March 6, 2019

C প্রোগ্রামিং এর Library Functions এবং i++, ++i এর সংক্ষিপ্ত বর্ণণা। (HSC- ICT)


১। #include<stdio.h>

এখানে, stdio মানে standard input ouput বোঝায়। .h মানে header files বোঝায়।
Header files printf, scanf এর মতো আরো বিভিন্ন ফাংশন (লাইব্রেরি ফাংশন) সংযুক্ত থাকে। তাই, কোন প্রোগ্রামে printf, scanf ব্যবহার করার জন্য শুরুতে #include<stdio.h> জুড়িয়ে দেয়া হয়।

২। #include<conio.h>

এটাও এক ধরণের header files যা MS-DOS Compilers-এ ব্যবহৃত হয়। এখানে, conio মানে Console Input Outputএখানেও বিভিন্ন লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ

putch
Writes a character directly to the console
cputs
Writes a string directly to the console
cprintf
Formats values and writes them directly to the console
clrscr
Clears the screen
getch
Get char entry from the console

৩/ Main()

Main () সি প্রোগ্রামের একটি ফাংশন, যার মধ্যে অন্যান্য সকল ফাংশন অবস্থান করে। সি প্রোগ্রাম রান হওয়ার সময় অপারেটিং সিস্টেম (CPU) দ্বারা এটি কল হয়। তাই, এ ফাংশন না পেলে প্রোগ্রামের আর কোন কোড কাজ করবেনা।

৪/ Printf()

এটি সি প্রোগ্রামিংয়ের একটি লাইব্রেরি ফাংশন। কোন আউটপুট দেখানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

 ৫/ scanf()

এটিও সি প্রোগ্রামিংয়ের লাইব্রেরি ফাংশন। যা কীবোর্ড/ ইউজার থেকে ইনপুট নিতে ব্যবহার করা হয়।
(Library function এবং user defined function এর পার্থক্য হলো, Library function আগে থেকে compiler কর্তৃক তৈরি করা থাকে main() এর ভিতরে। কিন্তু, user defined function ব্যবহারকারী নিজে নির্ধারণ করবেন। সেটা হতে পারে main() এর উপরে বা নিচে, কিন্তু ভিতরে নয়।)

৫/ syntax error!  প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যাকরণগত ভুল।

i++ এবং ++i এর মধ্যকার পার্থক্যঃ

i++ হলো পোস্টইনক্রিমেন্ট বা পোস্টফিক্স যা প্রথমে বাম চলকের মান এক বৃদ্ধি করে এবং সেটা ফলাফলে দেখায়। কিন্তু, ডান চলকের মান পরের ধাপে বৃদ্ধি করে। যেমনঃ
#include<stdio.h>
main()
{
    int i, j;
    i= 9;
    j = i++;
    printf("values of i and j: %d %d", i, j);
}
এখানে বাম চলক i, যার মান 9i++ হলে আগে i এর মান এক যোগ করে তা i তে দেখাবে (10)। কিন্তু, j এর বেড়ে যাওয়া মান দেখাবে পরের ধাপে। তাই, রেজাল্ট হবে, i= 10, j = 9
আবার,
++i  হলো প্রি-ইনক্রিমেন্ট বা প্রিফিক্স যা প্রথমে বাম চলকের মান এক বৃদ্ধি করে এবং একই লাইনে ডানচলকের মানও মান বৃদ্ধি হয়। এ ধরণের ইনক্রিমেন্ট বাম এবং ডান উভয়ের বৃদ্ধি হওয়া মান দেখায়। যেমনঃ
#include<stdio.h>
main()
{
    int i, j;
    i= 9;
    j = ++i;
    printf("values of i and j: %d %d", i, j);
}
এখানে বাম চলক i, যার মান 9i++ হলে আগে i এর মান এক যোগ করে তা i তে দেখাবে (10)। কিন্তু, j এর বেড়ে যাওয়া মান 10 । তাই, রেজাল্ট হবে, i= 10, j = 10


Friday, February 1, 2019

H.S.C - 2019 ( ICT - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, অধ্যায়- ১, ২)

নিচের যেকোন ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

১। বায়োইনফরমেটিক্স কী?  এর যেকোন একটি কাজ লেখ।

২।  ন্যানোপ্রযুক্তি কী? ১ ন্যানোমিটার = ?

৩। জিনোম কী? জেনেটিক মডিফিকেশন বলতে কী বুঝ?

৪। ক্রায়োসার্জারি কী? এর যেকোন দুইটি ব্যবহার লিখ।

৫। স্প্যামিং ও প্লেজিয়ারিজমের সংজ্ঞা দাও।

৬। ডেটা কমিউনিকেশন কী? ব্যান্ডউইথের সংজ্ঞা দাও।

৭। টপোলজি কী? এর বিভিন্ন প্রকার সমূহের নাম লিখ।

৮।হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে কী সুবিধা যাওয়া যায়?